নিজস্ব সংবাদদাতা ( পূর্ব মেদিনীপুর ) : সেই নন্দীগ্ৰাম ! সেই সূর্যদয় এর ঘোষনা । বাম সরকারের ভিত নড়িয়ে দিয়েছিলো সেদিনের ভূমি রক্ষার আন্দোলন । যার নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী আজকের বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল তৃণমূল কংগ্ৰেস । ২০০৭ সালের সেই ঘটনার পর অনেক জল গড়িয়ে গেছে । বদলে গেছে নন্দীগ্ৰামের রাজনৈতিক চিত্র । যে অধিকারী পরিবারের সাথে শাসকদলের এত ঘনিষ্টতা সেখানেই কেমন যেন চোরাস্রোত ব ইছে , অন্তত রাজনৈতিক মহল তাই মনে করছে । আগামী বছর বিধানসভা ভোট । তার প্রাক্কালে ১০ ই নভেম্বর সেই নন্দীগ্ৰাম দিবস এর ১৩ তম বর্ষ পূর্তি । কি হবে ১০ ই নভেম্বর ২০২০ তে তার দিকেই তাকিয়ে বহু জন । শুভেন্দু অধিকারী এখন রাজ্য রাজনীতির মূল আলোচনায় । তিনি নিজে মুখে কিছু না বললেও কোথায় যেন একটা সুর কেটে যাওয়া ছন্দ । বহু দিন দলের কর্মসূচীতে সেভাবে নেই । জেলায় জেলায় আমরা দাদার অনুগামী দিয়ে প্রচার , পোষ্টার । যে সব সভা মঞ্চে এই সময়কালে তাকে দেখা গিয়েছে অধিকাংশতেই নেই দলনেত্রীর কোনো ছবি বা তৃণমূলের কোনো প্রতীক ! কেন হঠাৎ এই পরিবর্তন ? নানা জনের নানা মত । কিন্তু শুভেন্দুর মুখ থেকে কোনো শব্দ বের হয় নি । এর মধ্যেই নন্দীগ্ৰাম চলো ডাক । তাও আবার ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নামে । সেখানে রয়েছে শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারীর ছবি । নেই তৃণমূলের নাম , নেই তৃণমূলের প্রতীক । আবার এক ই দিনে শহীদ স্মরণে তৃণমূলের সভা হাজরাকাটায় । সেখানে প্রধান বক্তা ফিরহাদ হাকিম । সেখানে নাম নেই শুভেন্দু অধিকারীর । এক দিন এক ঘটনা এক জায়গা অথচ শাসকদলের ই দু দুটি সভা । একটি সকাল ১০ টা অপরটি বিকাল ৩ টে । তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারী সত্যি সত্যিই দল ছাড়বেন ? নাকি শুভেন্দুকে বাদ দিয়েই নন্দীগ্ৰাম এলাকায় তৃণমূল দেখাবে তার শক্তি ? ১০ নভেম্বর ২০২০ হয়তো অনেক কৌতুহল এর নিরসন করবে ।